Logo Logo
বিশ্ব

তেহরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭১


Splash Image

ইরানের রাজধানী তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কারাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সামরিক প্রশিক্ষণরত তরুণ, বন্দি, দর্শনার্থী এবং আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২৯ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগার জাহাঙ্গীর। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৩ জুন গভীর রাতে সংঘটিত ওই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হন।

“হামলার সময় অনেক বন্দির আত্মীয়স্বজন সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তাঁদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও কম নয়,” বলেন আসগার জাহাঙ্গীর। তিনি আরও জানান, হামলায় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। আহত বন্দিদের চিকিৎসা শেষে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল শুধু একটি সামরিক হামলা নয়—বরং একটি কৌশলগত বার্তা। বিশ্লেষকদের ভাষায়, ইসরায়েল এ হামলার মাধ্যমে ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাদের লক্ষ্য কেবল পরমাণু স্থাপনা নয়, বরং দেশটির রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রতীকগুলোও হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এভিন কারাগারে হামলার সময় বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও সেখানে বন্দি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিক সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিস অন্যতম, যারা প্রায় তিন বছর ধরে ইরানি হেফাজতে আছেন।

ঘটনার পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া বার্তায় বলেন, “তেহরানের এভিন কারাগারে হামলায় আমাদের নাগরিকরা সরাসরি বিপদের মুখে পড়েছেন। এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রায়টার্স সূত্রে জানা গেছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত অভিযান ছিল, যার পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ