বিজ্ঞাপন
আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলেমা জানান, বিক্ষোভের কৌশল ও পরিকল্পনা দলীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী সালমান আকরাম রাজাকে।
আলেমা অভিযোগ করেন, “ইমরান খানকে একঘরে করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে তাঁর আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও খুব সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “আমরা দুই বোন মাত্র ১৫ মিনিট সময় পেয়েছি দেখা করার জন্য, আর আইনজীবী জহির আব্বাস মাত্র ৯০ সেকেন্ড।”
আলেমা আরও বলেন, ইমরান খান মনে করছেন দেশে কর্তৃত্ববাদ বাড়ছে এবং পাকিস্তান সামরিক আইনের দিকে এগোচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “যদি জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়, বিচার বিভাগকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং বিচারকদের হেয় করা হয়, তাহলে দেশে আইনের শাসন থাকবে না।”
ইমরান খান বারবার বলে এসেছেন, সংবিধানের প্রস্তাবিত ২৭তম সংশোধনী কার্যকর হলে তা একপ্রকার রাজতন্ত্রকে বৈধতা দেবে। তাঁর মতে, জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে দেশে দাসত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় তিনি বলছেন, এমন দাসত্বের চেয়ে কারাগারে জীবন কাটানো অনেক শ্রেয়।