এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দলীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে এই আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত পথসভায় এ ঘোষণা দেন নাহিদ ইসলাম। এসময় তিনি বলেন,
“আখতার হোসেনের হাত ধরেই উন্নয়ন-অগ্রগতির মূল স্রোতে পা রাখবে কাউনিয়া-পীরগাছা। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের অগ্রযাত্রা চলবে।”
দলটির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সভায় আখতার হোসেনকে “কাউনিয়ার ভূমিপুত্র” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সংযোগ ও ভূমিকা তুলে ধরেন।
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।
‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হয় মঙ্গলবার সকালে পীরগঞ্জ থেকে। শহীদ আবু সাইদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেন নেতারা। এরপর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্যাপুরে পথসভা শেষে বিকেলে রংপুর শহরে প্রবেশ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থান থেকে রংপুর নগরীর ডিসি মোড়ের উদ্দেশ্যে শুরু হয় পদযাত্রার মূল অংশ। রংপুরের প্রধান প্রধান মোড়, চত্বর ও বাজার এলাকাগুলো অতিক্রম করে পদযাত্রাটি ডিসি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শত শত নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ জনগণ স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। “শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”, “আদর্শের পতাকা উঁচু রাখো”—এমন সব স্লোগান ও ব্যানার-ফেস্টুনে মুখরিত ছিল পদযাত্রার পুরো রুট।
পদযাত্রার সমাপ্তি শেষে ডিসি মোড় এলাকায় এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতারা উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু ইতিহাস নয়, এটি আজকের বাস্তবতারও পথনির্দেশক। এই আন্দোলনের চেতনা নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি—পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে।”