বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি প্রায় ২৩ হাজার নারী অংশ নিচ্ছেন প্রদেশের বিভিন্ন কমিউনিটি-ভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রে।
গজনী শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মীর নাসির আহমদ হোসেইনি টোলো নিউজকে বলেন, “গজনীতে বর্তমানে প্রায় ২৫০টি ধর্মীয় বিদ্যালয় চালু রয়েছে, যেখানে প্রায় ২০ হাজার নারী পড়াশোনা করছে।”
এদিকে, প্রদেশের খাজা ওমারি জেলায় নারীদের জন্য একটি নতুন ধর্মীয় বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে। এই বিদ্যালয়টি হবে ওই জেলায় পঞ্চম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ২০ লাখ আফগানি ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানটি শেষ হলে অন্তত ১২০ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য একটি উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
খাজা ওমারি জেলার শিক্ষা প্রধান মতিউল্লাহ ফারুকি জানান, “বিদ্যালয়টি ৭.৫ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দারা দান করেছেন। সেখানে ছয়টি শ্রেণিকক্ষ, একটি প্রশাসনিক অফিস, একটি পানির কূপ, একটি মজুত ঘর, একটি আঙিনা এবং আধুনিক টয়লেট থাকবে।”
গজনীর বাসিন্দারাও মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
গজনীর বাসিন্দা আসাদুল্লাহ বলেন, “আগে আমেরিকান শাসনামলে নারীদের জন্য আলাদা কোনো বিদ্যালয় ছিল না। তাই তাদের শিক্ষার হারও কম ছিল। এখন নতুন বিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে, আমরা সবাই খুশি।”
এর আগে, আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর গত চার বছরে আফগানিস্তানে প্রায় ১,১০০টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ভবন নির্মিত হয়েছে।
-এমএসকে