ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়া ইসরায়েল-ইরান বিরোধে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই ইসরায়েল মস্কোর সঙ্গে সংলাপে বসে। যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহের মধ্যেই এই আলোচনা শুরু হয়। যদিও আলোচনার বিস্তারিত বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি, তথাপি ইঙ্গিত মিলেছে যে, আলোচনায় ইরান ও সিরিয়াকে ঘিরে চলমান উত্তেজনা এবং এর কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
এছাড়াও ইসরায়েল এই সময়কেই কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও একটি কাঠামোগত চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কান-এর তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন এবং সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই বৈঠকে ইরানবিষয়ক একটি চুক্তির রূপরেখা তুলে ধরার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রস্তাবিত কাঠামোটি লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের আগের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চুক্তির আদলেই হতে পারে। মূলত, এই কাঠামো ইরানের প্রভাব কমানো এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংবলিত দাবিগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার কূটনৈতিক প্রয়াস বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল নতুনভাবে আবারও ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ অর্থাৎ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিগুলোর সম্প্রসারণে মনোযোগ দিয়েছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় অতীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কোসহ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ইসরায়েল।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সিরিয়ার সঙ্গেও সম্ভাব্য আলোচনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি ঘোষণা দেওয়া হয়নি।