ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান রচনা বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। সেই নির্বাচন জনগণের নির্বাচন হবে না।”
বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শহরের এমটি হোসেন ইনস্টিটিউট মাঠ থেকে একটি পদযাত্রা বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এনসিপি নেতাকর্মীরা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে মৌলিক সংস্কারের জন্য যে কার্যক্রম চলছে, জুলাই সনদ এ মাসে হওয়ার কথা— সেই সনদ আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমেই বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত অন্যায্যভাবে আমাদের নদীর পানির হিস্যা বুঝিয়ে দেয় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্বে নদী ও সীমান্তসুরক্ষা আন্দোলন শিগগিরই শুরু হবে। আমরা এ অঞ্চলের মানুষের নদীর অধিকার, সীমান্তে বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে ছাড়বো।”
উত্তরাঞ্চলের চাহিদা ও বৈষম্যের প্রসঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যে আঞ্চলিক বৈষম্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যোগাযোগসহ তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।”
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “যারা ধর্ষণ করেছে, রাতের আঁধারে মা-বোনদের তুলে নিয়ে গেছে, তাদের বিচার করতে চাই। খুন করেছে, গুম করেছে এই মুজিব পরিবারের শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা— তাদের বিচার করতে হবে।”
পথসভাটি সঞ্চালনা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ,
দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, লালমনিরহাট জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রকিবুল হাসান, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিয়ন প্রমুখ।