ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হয়। এর কিছুদিন পরেই পুরো অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের খবর সামনে আসে, যা কিয়েভে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্য ইকোনমিস্টের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ওভাল অফিসে এক ‘উত্তপ্ত বিতর্ক’ হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র সাময়িকভাবে অস্ত্র সরবরাহ এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা বন্ধ করে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করাও একই ধরণের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে কিয়েভের কাছ থেকে কিছু রাজনৈতিক ছাড় আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পার্নেল বলেছেন, "সাময়িক বিরতির" বিষয়টি সামরিক প্রস্তুতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকারের অংশ। সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে—এই দাবি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এদিকে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্থগিতাদেশের আওতায় রয়েছে প্যাট্রিয়ট এয়ার-ডিফেন্স ইন্টারসেপ্টর, জিএমএলআরএস হাই-প্রিসিশন রাউন্ড, হেলফায়ার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল, স্টিংগার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলসহ বেশ কয়েকটি আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র।
এই পটভূমিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিয়েভে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জন গিনকেলকে তলব করেছে। সরবরাহ বন্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য এই তলব বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের সামরিক প্রস্তুতি ও পশ্চিমা সহায়তার ওপর নির্ভরশীল যুদ্ধনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে পূর্ব ইউক্রেনের রণাঙ্গনে রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তা একটি মূল ভূমিকা পালন করে আসছে।