ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তাঁর ভাষ্য, এই পদ্ধতি স্থানীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠার স্বাভাবিক পথকে বন্ধ করে দেবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)’ রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে। শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রিজভী বলেন, “আজ নানা কথা সামনে আনা হচ্ছে—আনুপাতিক ভোট। কেন এই ভোটব্যবস্থা? এতে স্থানীয় নেতৃত্ব তৈরির পথ রুদ্ধ হবে। কেউ যদি দীর্ঘদিন এলাকাভিত্তিক জনসংযোগ করে নেতৃত্বে উঠে আসে, তাকেও তখন দলীয় সিদ্ধান্তে বাদ দেওয়া হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এভাবে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পছন্দসই ব্যক্তিদের টিকিট দিয়ে নির্বাচিত করার মাধ্যমে আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে যাওয়া হবে। বিএনপি চায় জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার বজায় থাকুক। বৈধ ভোটাররা যেন সরাসরি ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন, আমরা সেই চিরায়ত গণতন্ত্রকেই চাই।”
আনুপাতিক ভোটব্যবস্থার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিজভী। তাঁর বক্তব্য, “১৮ কোটি মানুষের দেশে ১২ কোটির বেশি ভোটার রয়েছে। সেখানে কীভাবে এমন একটি ভোটব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে—তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “রক্তপিপাসু একটি দল যাতে আর কখনো ক্ষমতায় না আসে, সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন। গণতন্ত্র মানে হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা, পরস্পরের বিরুদ্ধে মুক্তভাবে সমালোচনার সুযোগ রাখা। নিজেদের কর্মসূচি থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে—এটাই হওয়া উচিত।”
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে যারা, তাদের এমন আচরণ করতে হবে যাতে কোনো সাধারণ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত না হন। কোনো চাঁদাবাজি বা দখলবাজির সঙ্গে বিএনপি বা এর কোনো অঙ্গসংগঠনের নাম যেন না জড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী, জেলা ড্যাবের আহ্বায়ক মো. খালেকুজ্জামান বাদল, সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার, মহানগর ড্যাবের আহ্বায়ক নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায় ও সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।