ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা কবরস্থানে ‘জুলাই শহীদ’ সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দেশ গড়তে আমরা ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু করেছি। উত্তরাঞ্চল থেকে এই পদযাত্রা শুরু করে মানুষের মধ্যে অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। খুব শিগগিরই এটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তা নয়, উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে সারা দেশব্যাপী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটলেও দেশে মাফিয়াতন্ত্রের অবসান হয়নি। আমাদের সংগ্রামের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই আন্দোলন।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতার প্রতীক। এই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচন অর্থহীন। আমরা এমন প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেব না।”
কবর জিয়ারতের সময় নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মো. আলমগীর। দোয়া পরিচালনা করেন নাহিদ ইসলাম নিজেই।
এর আগে, ‘জুলাই পদযাত্রা’ সৈয়দপুর পৌঁছালে শহরের রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের সামনে এনসিপির নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, স্থানীয় নেতা তানজিমুল আলমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা জানান। পরে পদযাত্রাটি সৈয়দপুর শেষ করে নীলফামারীর উদ্দেশে অগ্রসর হয়।
এনসিপি বলছে, এই পদযাত্রার মূল লক্ষ্য হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য গড়া এবং ‘জুলাই শহীদদের’ আত্মত্যাগের মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।