ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় তার এই উপস্থিতি। খবর বিবিসির।
টেলিভিশনে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, খামেনি মসজিদের উপস্থিত মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানান এবং অনুষ্ঠানস্থলে থাকা বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা মাহমুদ করিমিকে দেশাত্মবোধক সংগীত ‘হে ইরান’ পরিবেশনের জন্য উৎসাহ দেন। সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সংগীতটি ইরানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সামরিক উত্তেজনার সময় ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরায়েল কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরানও বিমান হামলার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়।
এই সংঘাত চলাকালে আয়াতুল্লাহ খামেনিকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র তিনটি পূর্ব-রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তা প্রচারিত হয়, যা ঘিরে গুজব রটে যে তিনি হয়তো নিরাপদ কোনো গোপন বাঙ্কারে অবস্থান করছেন। তবে শনিবার সরাসরি উপস্থিত হয়ে তিনি সেই গুজবের অবসান ঘটান, যা সমর্থকদের মধ্যে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ইমাম খোমেনি মসজিদে, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নামে নামাঙ্কিত। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দর্শকদের এই অনুষ্ঠান নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ভিডিও আকারে পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন এক পূর্ব-রেকর্ডকৃত বক্তব্যে আয়াতুল্লাহ খামেনি সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধ সত্ত্বেও ইরান কখনোই ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তার এই বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ১২ দিনের সংঘাতের অবসান ঘটে এবং উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।