ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণসংহতি আন্দোলনের তরুণ জুলাই যোদ্ধাদের ‘নতুন বাংলাদেশ ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও জাতীয় পরিষদের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সংগঠনের নেতাকর্মীরা জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে তাঁদের সরাসরি অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়ন, সাংগঠনিক গতিপ্রবাহ ও স্থানীয় বাস্তবতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, “মব তৈরি করে অরাজক পরিস্থিতির জন্ম দেওয়া গণ-অভ্যুত্থানের প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। এটি প্রতিহত করা অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি দায়িত্ব।” তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়। আমরা বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য চাই। বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি দাবিকেই একে অপরের প্রতিপক্ষ না বানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে একযোগে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন, হাসান মারুফ রূমী; ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান (রিচার্ড), নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফারহানা মানিক (মুনা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক এবং সদস্যসচিব সাকিবুর রনি প্রমুখ।
সবার বক্তব্যেই উঠে আসে, জনগণের অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিক আন্দোলন যেন কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় বিকৃত না হয়—এটি নিশ্চিত করার আহ্বান।