ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মৃতদের মধ্যে ৪৩ জন কের কাউন্টিতে, তিনজন বার্নেট কাউন্টিতে এবং চারজন ট্র্যাভিস কাউন্টিতে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন শিশু রয়েছে, যা এই দুর্যোগকে আরও মর্মান্তিক করে তুলেছে।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন শত শত কর্মী। নিখোঁজদের খোঁজে অভিযান চলছে টানা, এবং তা চলবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা। এখন পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৮৫০ জনকে।
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ট্র্যাভিস কাউন্টির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। তিনি বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, “মনে রাখবেন, ঘুরে দাঁড়ান, ডুবে যাবেন না! বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বাইরে বের হওয়ার সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন।”
ট্র্যাভিস কাউন্টির বিচারক অ্যান্ডি ব্রাউন বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তা এড়িয়ে চলতে, সরকারি জরুরি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং কর্তৃপক্ষ নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় না ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মধ্য ও দক্ষিণ টেক্সাসে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর গড়াতেই তা পরিণত হয় প্রবল বর্ষণে। সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টির তীব্রতায় টেক্সাসের গুয়াদালুপে নদীর দুই তীরে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে নদীর পানি ২৬ ফুট বেড়ে যায় বলে জানান টেক্সাসের উপ-গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক। এ ধরনের পানি বৃদ্ধিকে ‘বিধ্বংসী বন্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনও উদঘাটন করা না গেলেও, এ পরিস্থিতিকে টেক্সাসের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দুর্যোগ বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া কর্মকর্তারা।