বিজ্ঞাপন
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পিআর পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে তার ভাষা ও আচরণ ছিল অশোভন এবং স্ববিরোধী।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, “পিআর নিয়ে ভিন্নমত থাকা রাজনৈতিক সৌন্দর্যের অংশ। কিন্তু সালাহউদ্দিন আহমেদ যেভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে আক্রমণ করেছেন, তা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের পরিপন্থি।”
তিনি বলেন, “বিএনপি যখন ফ্যাসিস্ট শাসনের কথা বলে, তখন তাদের অতীত অবস্থান ছিল ভিন্ন। ২০১৩-১৪ ও ২০১৯ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছে এবং বিজয়ীও হয়েছে। এমনকি চট্টগ্রামের শাহাদাত হোসেন ও ঢাকার ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের অধীনে আয়োজিত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন সেই একই দল যখন পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে, তখন তা স্ববিরোধী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই প্রতীয়মান হয়।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদের মতো একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের মুখে এমন ভাষা শোভন নয়। একসময় যখন তাকে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল, তখন তিনি ভারতে আরাম-আয়েশে অবস্থান করছিলেন। বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হলেও তিনি তখন সেখানে ছিলেন। এমনকি গুম ইস্যুতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মামলা না করে পরে রাজনৈতিক চাপে পড়ে মামলা দায়ের করেন, যা তার কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
শেখ ফজলুল করীম মারুফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্ট করার দায় তাকেই নিতে হবে এবং বিএনপিও সমালোচনার মুখে পড়বে। বিএনপির উচিত, এমন স্ববিরোধী ও বিতর্কিত নেতার বিষয়ে সতর্ক থাকা—যাতে তিনি দল ও দেশের রাজনীতিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “সভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মতভিন্নতা থাকবেই, কিন্তু তা হতে হবে যুক্তিপূর্ণ ও শালীন ভাষায়। সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য বিএনপির অবস্থানকে দুর্বল ও বিতর্কিত করেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাইলে পুরোনো অসভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তি দিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রয়োজন।”