বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক নৈশভোজের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এ সময় সিরিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গ তুলে একই ধরনের পদক্ষেপ ইরানের ক্ষেত্রেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “ইরানকে পুনর্গঠনের একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারবো। অতীতের মতো ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’, ‘ইসরায়েলের মৃত্যু হোক’ এসব স্লোগান না দিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ইরানকে পুনর্গঠনে এগোতে দেখলে আমার ভালো লাগবে।”
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে তিনি ‘অত্যন্ত পীড়াদায়ক’ আখ্যা দেন এবং জানান, দেশটির জনগণ দারুণ সম্ভাবনাময়—“তাদের তেল শক্তি আছে এবং তাদের মহান, বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী মানুষ আছেন।”
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন সুর শোনা গেছে ইরান থেকে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তাব তেহরান পায়নি।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে সিরিয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আলোচনায়। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান। বর্তমানে দেশটিতে একটি নতুন সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অংশ নেওয়া বিমান বাহিনীর পাইলটদের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আর ‘মধ্যপ্রাচ্যের দাঙ্গাবাজ’ হিসেবে থাকতে পারবে না।”