Logo Logo
বিশ্ব

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ : মাত্র ১০ দিনে মৃত্যু ২ হাজার ৩০০ জনের


Splash Image

ইউরোপজুড়ে চলমান প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহ ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ডেকে এনেছে। গত ২২ জুন থেকে ০২ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ইউরোপের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা যৌথ গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন সরাসরি তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে মারা গেছেন। বাকিদের আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগা অবস্থায় তীব্র তাপদাহ মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে।

জানা গেছে, জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ইউরোপের একাধিক দেশ ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে। ঐতিহ্যগতভাবে শীতল আবহওয়ার জন্য পরিচিত ইউরোপের বহু অঞ্চলে ওই সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বা তারও বেশি।

ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক ড. বেন ক্লার্ক বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপের গ্রীষ্মকাল অনেক বেশি উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং এটি মানুষের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এর অন্যতম কারণ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের গবেষণায় কেবল ইউরোপের ১২টি বড় শহরের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আমরা মনে করছি।”

অন্যদিকে, ইউরোপের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেইঞ্জ সার্ভিস আজ বুধবার তাদের মাসিক বুলেটিন প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের মতোই ২০২৫ সালের জুন মাসও ‘ইতিহাসের উষ্ণতম’ জুন হিসেবে রেকর্ডে স্থান পেয়েছে।

কোপার্নিকাসের স্ট্র্যাটেজিক বিভাগের প্রধান সামান্থা বার্গেস বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের উষ্ণতার মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপে তাপপ্রবাহ আরও ঘন ঘন এবং ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।”

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ