ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এক রাতে সর্বোচ্চ ৭২৮টি ড্রোন এবং ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। কিয়েভ দাবি করেছে, ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ড্রোন ও মিসাইলের অধিকাংশই সফলভাবে প্রতিহত করতে পেরেছে। তাদের ভাষ্যমতে, ৭১৮টি ড্রোন এবং ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলাগুলো মূলত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ও সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তবে যেসব ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত হয়নি, সেগুলো কীভাবে বা কোথায় আঘাত হেনেছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এ ধরনের হামলায় নিয়মিতভাবে কামিকাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। তবে, এক রাতে এত বিপুল সংখ্যক ড্রোন ব্যবহার করে হামলার ঘটনা এটিই প্রথম, এমনটা দাবি করেছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।
এর আগে গত জুন মাসের শেষ দিকে, রাশিয়া এক রাতেই ৪৭৭টি ড্রোন ও ৬০টি মিসাইল দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল ইউক্রেনে। তখন ইউক্রেনীয় বাহিনী জানায়, ওই হামলায় ২৪৯টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, সেসময় ইলেকট্রনিক জ্যামিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোনগুলোর বড় একটি অংশ অকার্যকর করা হয়েছিল।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় বলেন, “যেখানে জীবনের কোনো চিহ্ন আছে, সেখানেই আঘাত হেনেছে রাশিয়া।” তার ভাষায়, “যুদ্ধ শেষ হওয়ার আশার যে ক্ষীণ আলোর রেখা তৈরি হয়েছিল, এই আক্রমণের মাধ্যমে সেটি নিভে গেছে।”