ছবি : রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।
জানা গেছে, আলোচনায় মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ এবং এর পরবর্তী যুদ্ধবিরতি ঘিরেই কথা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ দেওয়া বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় সৌদির সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন— “ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হবে বলে রিয়াদ আশাবাদী।” তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে যেসব দেশের বিরোধ রয়েছে, সেগুলো কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে সৌদি আরব সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি যুবরাজের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ইরানের পরমাণু প্রকল্প ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার দিকেই ইঙ্গিত মিলেছে।
এর আগে গত ১২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ওমানে চলমান সংলাপের সময় তেহরান ও এর পরমাণু ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর আকস্মিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সংঘাতের একাদশ দিনে যুক্তরাষ্ট্রও সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহর— ফার্দো, নানতাজ ও ইসফাহানে হামলা চালায়। হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাত থেমে গেলেও ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপও কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।
ইরান-সৌদি দ্বন্দ্বের ইতিহাস নতুন নয়। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীকে ইরানের সহায়তা ঘিরে ২০১৫ সাল থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ। তবে চীনের মধ্যস্থতায় ২০২৩ সালে ফের উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়।
সর্বশেষ রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক মেরুকরণে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।