ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার (৯ জুলাই) এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় চীনা দূতাবাস জামায়াত নেতাদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, যিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্যও দেন।
সংবর্ধনায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান এবং অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ও মোবারক হোসাইন, শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি ডা. আনোয়ারুল আজিম, আমিরে জামায়াতের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম, ওমর হাসিব শফিউল্লাহ ও নওশাদ আলী ফরহাদসহ অন্যান্য নেতারা।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই সফরকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে বলেন, “এই সফরে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হবে, যা জামায়াত এবং বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, দল হিসেবে এটি জামায়াত ইসলামী’র দ্বিতীয় চীন সফর।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে এই সফরের আয়োজন করেছে চীন সরকার। এর আগেও, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলসহ ছাত্রশিবির ও আরও চারটি ইসলামী দলের মোট ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল চীন সফরে গিয়েছিল। সে সময় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
অন্যদিকে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গত মাসে বিএনপির একটি বৃহৎ প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। চলতি বছরের শুরুতেও বিএনপির আরও দুটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলগুলোর ঘনিষ্ঠতা ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর চলমান সফরও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের মত।