বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি জানান, শিগগিরই এই দুটি অঞ্চলে অভিযান চালাবে ইউক্রেনীয় সেনারা।
জেনারেল সাইরিস্কি তার টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেই ক্রুস্ক এবং বেলগোরোদ দখলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ দুটি প্রদেশে অভিযান চালানো হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি সময় ক্রুস্ক প্রদেশ ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। এ নিয়ে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে কয়েক মাসব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ চলে, যাতে উভয় পক্ষেরই হাজার হাজার সেনা নিহত হন। দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষে ২০২৫ সালের এপ্রিলের শেষদিকে রুশ বাহিনী পুনরায় ক্রুস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
সংঘাতের ভয়াবহতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পর্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর পিছু হটার পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্রুস্ক সফর করেন। এরপর সেইন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের এক সেমিনারে তিনি বলেন, “ক্রুস্কের যুদ্ধ ছিল এক বিপর্যয়। ইউক্রেন সেখানে ৭৬ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে।”
তবে ইউক্রেন পুনরায় ওই অঞ্চল দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই জানিয়েছেন জেনারেল সাইরিস্কি। তার দাবি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এই হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী কিংবা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত জুন মাস থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংলাপ শুরু হলেও উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।