বিজ্ঞাপন
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ক্যাফেটেরিয়ার একটি টেবিলে চিরকুটটি দেখতে পান অন্য শিক্ষার্থীরা। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মামা, আপনার হালুয়াতে পোকা পাওয়া গেছে। হালুয়ার দাম ১০ টাকা রেখে গেলাম।’ ঘটনাটি দ্রুত ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী একজন নারী।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “ক্যাফের মামা তাকে (ছাত্রী) খাবার দিয়ে যান। এরপর তিনি খাবারের ভেতর পোকা পেয়ে চুপচাপ চিঠি লিখে টেবিলেই রেখে চলে যান।”
মো. রাজিব নামে আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ক্যাফেটেরিয়ায় মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি। আগেও তদারকি কমিটি করা হয়েছিল, কিন্তু তাদের কার্যক্রম ছিল না বললেই চলে।”
তিনি আরও বলেন, “নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর ব্যবস্থা নিলে এসব ঘটনা এড়ানো যেত। আমরা চাই, ক্যাফেটেরিয়ায় মানসম্মত খাবার নিশ্চিত হোক এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখা হোক।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হলেও দাম রাখা হয় অনেক বেশি, যা বাইরে অনেক ভালো খাবারের দামের সমান। তাদের দাবি, খাবারের মান উন্নত করতে হবে, প্রতিটি পণ্যের মূল্য তালিকা দৃশ্যমানভাবে ঝুলাতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং চালু করতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। এর আগেও এখানকার খাবারে অতিরিক্ত তেল, দুর্গন্ধ, নোংরা পরিবেশ ও পোকা-মাকড় পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
-মোঃআশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি