ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “দুই নম্বর জমিতে এক নম্বর ফসল হয় না, দুই নম্বর ওস্তাদের কাছে এক নম্বর ছাত্র হয় না। যতদিন চরিত্রবান, আদর্শনিষ্ঠ, ন্যায়ভিত্তিক মানুষ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে না, ততদিন নৈতিক ও আদর্শিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।”
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠুতার যাচাই করা প্রয়োজন। যদি স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তবেই জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রত্যাশা করা যায়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “প্রশাসনকে এখনও ঢেলে সাজানো হয়নি। সংস্কার ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনটি দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করেছি এবং করবো।”
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, “এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে সকল আদর্শের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব। তখন সংসদ হবে সর্বজনীন। এতে জনগণের দাবি-দাওয়া সংসদেই আলোচিত হবে, রাস্তায় হরতাল করার প্রয়োজন পড়বে না।”
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আজ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের কারণে ব্যবসা করতে পারছে না। বিএনপির আমলে নয় মাসে দেড়শ’ খুন হয়েছে। চাঁদা তোলে পল্টনে, চলে যায় লন্ডনে—এটা কি দেখার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি?”
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে, এবং মানুষ চাঁদাহীন, শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবে।”
সমাবেশে কুষ্টিয়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ইসলামী আন্দোলনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।