বিজ্ঞাপন
নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দারিয়াপাড়া গ্রামে মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদ কমিটি সভাপতি পেয়েছেন মাত্র ২০ হাজার টাকা। সেখানেও নেই কোনো সাইনবোর্ড।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক একদিন ঘোষণা দেন, মাত্র ২০ হাজার টাকা এসেছে। প্রকল্প সভাপতি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি টাকা তুলেছেন; কাজের দায়িত্ব ছিল ইউপি সদস্য বাবলু মিয়ার।
বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পশ্চিম দত্তরচর এলাকায় রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ হয় ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৬ টাকা। অথচ কাজ হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রকল্প সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নাফ বলেন, “উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। ৪৭৬ ফুট রাস্তার কাজ করা হয়েছে, বাকি কাজ অন্য প্রকল্পে করা হবে।” এখানেও সাইনবোর্ড অনুপস্থিত ছিল।
একই ইউনিয়নের শহীদ জালাল উদ্দিন মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন সামাজিক কবরস্থানে মাটি ভরাট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেখানে পুরাতন ইট দিয়ে নির্মাণকাজ চালানো হয়েছে। ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, “কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি।”
এ বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবীবুর রহমান সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাসুদ রানার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের ঘটনা বেড়েই চলছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।