বিজ্ঞাপন
এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ১৬০ জনের বেশি মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
কের কাউন্টিকে এই দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কাউন্টিটির শেরিফ ল্যারি লেইথা জানিয়েছেন, এখানেই এখন পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ৩৬ জনই শিশু। গুয়াদালুপ নদীর তীর ধসে পড়ার সময় একটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে থাকা ২৭ জন কিশোরী এবং কয়েকজন কাউন্সিলর নিখোঁজ হয়ে যান।
ধ্বংসস্তূপ, কাদা এবং বিপজ্জনক অবস্থা সত্ত্বেও উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন দুই হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও বিশেষজ্ঞ দল। হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেক্সাস গেম ওয়ার্ডেনদের মুখপাত্র বেন বেকার। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বন্যা সতর্কতা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তহবিল হ্রাসের কারণে এই ব্যবস্থায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা সুনির্দিষ্ট উত্তর এড়িয়ে গেছেন। শেরিফ লেইথা বলেন, “এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি। আমরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করা এবং পরিবারগুলোর সঙ্গে তাদের পুনর্মিলনের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।”
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (NWS) মধ্য টেক্সাসের পার্বত্য অঞ্চলে আরও বিক্ষিপ্ত ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে করে চলমান উদ্ধার তৎপরতা আরও ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, পার্শ্ববর্তী নিউ মেক্সিকোর রুইডোসো শহরেও আকস্মিক বন্যায় তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে নদীর পানি বেড়ে রেকর্ড ২০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
সার্বিকভাবে, টেক্সাস এবং এর আশপাশের অঞ্চলে চলমান এই দুর্যোগে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিখোঁজদের উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা।