ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ১১তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিচার বিভাগকে যুক্ত করার কারণে কেবল বিচার বিভাগ দলীয়করণ হয়নি, বরং পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। আবার রাষ্ট্রপতিকে শেষ বিকল্প হিসেবে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যবহারে রাষ্ট্রপ্রধানকেও বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।”
তিনি জানান, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে রাষ্ট্রপতি ও বিচার বিভাগকে বাইরে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের রূপরেখা তৈরি করা হোক। তার মতে, নির্বাচন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, আর এই রাজনৈতিক বিষয়ের সমাধান আসা উচিত রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের হাত থেকে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ যদি গঠিত হয়, তাহলে সেই প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নির্বাচন করা যেতে পারে।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন একটি সাধারণ ঐকমত্য তৈরি হয়েছে যে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার প্রয়োজন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন যে প্রধান বিচারপতিকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া উচিত।”
তবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার কতটুকু থাকবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রস্তাব তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি জানান, তারা চান রাষ্ট্রপতি যেন আপিল বিভাগের দুই শীর্ষস্থানীয় বিচারপতির মধ্যে যেকোনো একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন। তার মতে, এটি রাষ্ট্রের ক্ষমতার কাঠামোয় ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “গত ১৫ বছরে যেভাবে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক প্রভাবের মধ্যে পড়েছে, সেই বাস্তবতায় আমাদের প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”