ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী দোসরদের জায়গা দেওয়া হবে না।”
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে পদযাত্রা শেষে আয়োজিত পথসভায় এসব বক্তব্য দেন তিনি।
পথসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আপনাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। আমরা আর কোনো দখলদার, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের হাতে এই দেশের শাসনভার তুলে দেব না। ভিনদেশী প্রভুদের ইশারায় যারা কথা বলে, আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করব।”
নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই সনদ ঘোষণার আগে কোনো নির্বাচন ছাত্র জনতা মেনে নেবে না। আগে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। খুনিদের বিচার, সংস্কার ও জুলাই সনদ ঘোষণার আগে নির্বাচনের পায়তারা করা হলে আবারও গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
এর আগে বেলা দেড়টার দিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ নিয়ে মাগুরা শহরে পদযাত্রা শুরু করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। পদযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে চৌরঙ্গী মোড় ও ঢাকা রোড হয়ে ভায়না মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, আখতার হোসেন, সারজিস আলম, ডা. তাসনীম জারা, সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রেজা প্রমুখ।
পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর নড়াইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এর আগে বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তারা ঝিনাইদহ সফর শেষে মাগুরায় পৌঁছান।