ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক হামলা হয়েছে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায়। সেখানে শিশুখাদ্য নিতে লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের ওপর চালানো হয় বোমা হামলা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৫ জন, যাদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছেন।
এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন সময়, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। একই সময়ে রাফাহ শহর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরানোর পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
শিশুদের জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফের শীর্ষ কর্মকর্তা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ যখন বাঁচার জন্য সহায়তা চাইছে, তখন তাদের ওপর হামলা চালানো অমানবিক।’ তিনি বলেন, ‘গাজায় খাদ্য সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। শিশুদের দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও বাড়ছে।’
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন এই হামলাকে ‘গণহত্যার ধারাবাহিকতা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, বাজার, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা অভিযানে নামলে গাজায় সহিংসতা চরমে পৌঁছায়। চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও লাখের বেশি মানুষ।
-সুত্র আল জাজিরা