বিজ্ঞাপন
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন যুবদল নেতা রজ্জব আলী পিন্টু, সাবাহ করিম লাকি এবং তাদের অনুসারীরা। শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শেরে বাংলা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয় ২৪ হল, টিএসসি, হতাশা চত্বর, উপাচার্যের বাসভবন প্রদক্ষিণ করে ৪ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে গিয়ে প্রতীকীভাবে ১০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা “যুবদল মানুষ মারে, তারেক রহমান কী করে?”, “বীর বাঙালির বায়না, চাঁদাবাজি চাই না”, “তোমার আমার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই”– এমন সব স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহম্মেদ বলেন, “গত ৯ তারিখে যে নির্মম হত্যাকাণ্ড হয়েছে, জুলাই পরবর্তী সময়ে এসে এধরনের ঘটনা আমরা বরদাস্ত করবো না। কেউ যদি আবার আওয়ামী স্টাইলে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম চালাতে চায়, তাহলে আমরা সেটা শক্ত হাতে প্রতিহত করবো।”
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম বলেন, “নব্য কোনো ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় আর হবে না। যারাই ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে, বাংলার মানুষ তাদেরই শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।”
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার সায়েম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নতুন বাংলাদেশে এসেও আমাদের মিডিয়া এখনো বিকৃত। দুই দিন আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কোনো মিডিয়া তা তুলে ধরেনি। আমরা আজকের এই বিক্ষোভ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি—আপনারা সতর্ক হোন, অন্যথায় আপনাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের থেকেও করুণ হবে।”
প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন।
প্রতিবেদক - মোঃ আশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।