বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মিছিলটি শুরু হয়। পরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, আধিপত্যবাদবিরোধী মঞ্চ ও বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আহসান লাবিব।
সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান বলেন, “গত ৯ মাসে বিএনপির অন্তঃকোন্দলের কারণে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এই বাংলাদেশে আর হতে দেব না। আপনারা যদি না শোধরান, তাহলে হয়তো আগামীতে ক্ষমতায় আসবেন, কিন্তু কতদিন টিকে থাকতে পারবেন, তা ছাত্র-জনতা ঠিক করে দেবে।”
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি শাফায়েত মীর বলেন, “যারা আবার আওয়ামী লীগের পুরোনো বন্দোবস্ত চালু করতে চায়—চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন করতে চায়—তাদের বলব, চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করুন, আমরা ভিক্ষা দেব। কিন্তু জুলুম, নির্যাতন, খুন আমরা মেনে নেব না। প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, “বিএনপি যদি এই খুন, রাহাজানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হয়তো সেদিন আর বেশি দূরে নয়—যে পথে আমরা লীগকে পাঠিয়েছি, সেই পথেই ফ্যাসিবাদী আমলে বিএনপিকেও হাঁটতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেন সহিংসতা ও চাঁদাবাজি পরিহার করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে ফিরে আসে। অন্যথায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে যে কেউই ক্ষমতা হারাতে বাধ্য হবে।
প্রতিবেদক - আকিব সুলতান অর্নব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।