বিজ্ঞাপন
নিহতদের মধ্যে বিমানটির ২৪২ আরোহীর ২৪১ জন ছিলেন। এছাড়া ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যেও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (Aircraft Accident Investigation Bureau – AAIB) যে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা থেকে উঠে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে বোয়িং ৭৮৭-এর জ্বালানি সরবরাহের দুটি সুইচ একসাথে বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় ইঞ্জিনে জ্বালানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
এই তথ্য বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া যায়। এতে দেখা গেছে, সুইচ দুটি এক সেকেন্ডেরও কম ব্যবধানে ‘রান’ (চালু) অবস্থা থেকে ‘কাট অফ’ (বন্ধ) হয়ে যায়। তখন বিমানটির গতি ছিল প্রায় ১৮০ নট (প্রায় ৩৩৩ কিলোমিটার/ঘণ্টা)।
ব্ল্যাকবক্স থেকে উদ্ধার করা ককপিটের অডিও রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করছেন কেন তিনি জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করেছেন। উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি এ ধরনের কোনো কাজ করেননি। এরপর তারা সুইচ দুটো পুনরায় চালু করেন এবং ইঞ্জিনে জ্বালানি প্রবাহ ফের শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে বিমানের উচ্চতা ও গতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, যেখানে তা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ৭৮৭ মডেলের এয়ারক্রাফটে জ্বালানি সরবরাহের সুইচ, যা ‘কাট অফ’ নামে পরিচিত, তা পাইলটদের আসনের মাঝখানে থ্রটল লিভারের নিচে অবস্থান করে। এই সুইচগুলো সাধারণত ধাতব দণ্ডের মাধ্যমে আবৃত থাকে, যাতে করে সেগুলো দুর্ঘটনাবশত বন্ধ না হয়ে যায়। পাশাপাশি এতে একটি লকিং সিস্টেমও থাকে।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি উড্ডয়নের সময় কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না এবং জ্বালানির গুণগতমানও ছিল স্বাভাবিক মানের। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি সুইচ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্ঘটনার মূল কারণ।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।