ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলে দিলেন, তখনই হত্যাকাণ্ড, তখনই বিব্রতকর পরিস্থিতি। এটি নিছক কাকতালীয় নয়, বরং এটি একটি গভীর চক্রান্তের অংশ।”
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচির মূল দাবি ছিল—২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় ছাত্রদল-যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে। অথচ ২০১১ সালের ঘটনায় আমি যে মামলা করেছিলাম, হারুন-অর-রশিদ ও বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে—তা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা আজ কোথায়? কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তর জনগণ জানতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “মিটফোর্ডের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার পরও আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেনি। অথচ বিএনপি যখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তখনই তারেক রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন—দোষীদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এতে বিএনপি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।”
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “গত পরশুদিনের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কে, তা খুঁজে বের করা জরুরি। তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনের বৈঠক এবং আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এটি আরেকটি ষড়যন্ত্র—আমি তেমনটাই মনে করি।”
ফারুক আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যেন সব কথায় কান না দিয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণা করতে বলেন। দেশের পরিস্থিতি আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে এটিকে আর সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন, জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে কে ক্ষমতায় আসবে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান সব সময় বলে আসছেন—দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ যে আশা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে, তার কাছে অনুরোধ—অচিরেই জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।