Logo Logo
রাজনীতি

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জামায়াতের ক্ষোভ : চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।


বিজ্ঞাপন


দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।

শনিবার (১২ জুলাই) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আপনাদের তো শুধু নির্বাচন চাইতেই দেখি, কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন? মিটফোর্ডের খুনিদের নিয়ে কথা বলেন না কেন? আপনারা কি এখনো দলীয় সন্ত্রাসীদের চিন্তা-চেতনার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন নাই?”

তিনি বলেন, “সোহাগের অপরাধ কি ছিল? তিনি তো শুনেছি যুবদলেরই লোক ছিলেন। তার অপরাধ—চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি। এটাই কি তার মৃত্যুর কারণ?”

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ বিদায়ের পর মানুষ আশ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার একটি দল দেশের মালিক সেজে বসেছে। আমরা তো একসাথে আন্দোলন করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, আজ সেই আগুন আবার জ্বলছে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে।”

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজরা যদি মাত্র কয়েকজন হয়, আর আশপাশে শত শত মানুষ থাকে, তাহলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুললেই তারা মাটিতে মিশে যাবে। যদি জনগণ রুখে না দাঁড়ায়, তাহলে আজ সোহাগ, কাল আপনিও হতে পারেন।”

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “চাঁদাবাজ, খুনিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের গ্রেপ্তার করতে সরকার ব্যর্থ হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। শপথ নিয়েছেন জনগণের জানমাল রক্ষার, সেটা পালন করতে ব্যর্থ হলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, “দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছরের আন্দোলনের পর আমরা ফ্যাসিবাদ ও চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমরা আন্দোলন করেছি, তারাই এখন খুন-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির জালে জড়িয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “তারা নির্বাচনের জন্য ব্যাকুল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। দ্রুত নির্বাচন চাইছেন, কিন্তু খুনিদের বিচারের প্রশ্নে নিশ্চুপ। জনগণ এসব দেখে ফেলেছে। আগামী দিনে জনগণ কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের গডফাদারদের ক্ষমতায় বসাবে না।”

বুলবুল মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কালক্ষেপণের বিরোধিতা করে বলেন, “তদন্ত কমিটির দরকার নেই, জনগণ জানে কারা জড়িত। অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, “লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মতোই আবারো সন্ত্রাসের ভয়াবহ রূপ দেখেছে দেশ। ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সংস্কার নয়, তারা ভোট ডাকাতির নির্বাচন চায়। জনগণ তাদের আশায় গুঁড়ো বালি করে দেবে। চাঁদাবাজদের আস্তানা ঢাকাসহ কোথাও থাকবে না।”

বিক্ষোভ শেষে মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। তাতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা অংশ নেন।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ