বিজ্ঞাপন
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, খুনি হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নেওয়ার সময় আমরা ভেবেছিলাম, দেশে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটবে এবং অতীতের সব গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও বিচারবহির্ভূত হত্যা আগের চেয়েও বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি খুনকে আমরা রাজনৈতিক দলের চোখে বিচার করছি, যা কখনোই কাম্য নয়। একটি হত্যাকে সব সময় হত্যা হিসেবেই দেখতে হবে, হত্যাকারী যেকোনো দলের কর্মী হতে পারে। ৯ জুলাই মিটফোর্ডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে বিএনপির নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ বিএনপি কখনোই এই হত্যাকে সমর্থন করেনি, বরং অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও গতকাল খুলনায় যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে এবং রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি— অপরাধী যেই হোক না কেন, প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডেরই নিরপেক্ষ বিচার হওয়া উচিত।
সমাবেশে ছাত্রদলের জাবি শাখার আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, আমরা দেখছি, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে অবনতি ঘটেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুরু থেকেই এসব হত্যা ও ধর্ষণের বিচার করতো, তাহলে কেউ আর মব কালচারের পুনরাবৃত্তি করার সাহস দেখাতো না।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মব হামলার ঘটনা ঘটলেও, শুধুমাত্র মিডফোর্ডের সামনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিএনপি ও ছাত্রদলকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যারা গুম, খুন, সন্ত্রাস, এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত—তাদের কোনো দল থাকতে পারে না। তারা কেবল সুবিধাবাদী। জনগণকে এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
আকিব সুলতান অর্নব, জাবি প্রতিনিধি।