বরগুনায় এনসিপির পদযাত্রায় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও অন্যান্য নেতা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার দুপুরে বরগুনা শহরের টাউন হল মোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভায় পরিণত হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাজারো মানুষের রক্তদানের পরও বরগুনার সন্তান সোহাগকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়, যা গোটা দেশ দেখেছে। স্বৈরাচার গেলেও চাঁদাবাজির সিস্টেম এখনো বহাল রেখেছে একটি দল।”
এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন এনসিপি নেতারা।
দলটির উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বরগুনার অব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ও সেবার অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এনসিপির অগ্রযাত্রাকে পরিকল্পিতভাবে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। এখন সময় দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতির।”
পথসভায় নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আসেনি। বৈষম্য, লুটপাট, এবং সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে এনসিপির পাশে থাকার আহ্বান জানান তারা।
চলতি জুলাই মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হওয়া এনসিপির পদযাত্রা দক্ষিণাঞ্চল পেরিয়ে এখন বরিশাল ও ভোলার পথে। এনসিপির দাবি— ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নতুন স্বাধীনতা এলেও, বাস্তব পরিবর্তন হয়নি। বরং ক্ষমতাসীন একটি দল মুজিববাদের নামে চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে দুপুরে পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউস সড়ক থেকে এনসিপির নেতারা পদযাত্রা করেন। দুপুর দেড়টার দিকে সার্কিট হাউজের সামনে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা।
দলটির পরবর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোলা ও বরিশালে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
- সফিকুল ইসলাম রাসেল, বরগুনা।