বিজ্ঞাপন
আল্লাহর রহমতের বার্তা
খুতবার শুরুতে তিনি বলেন, “কোনো অবস্থায়ই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাঁর বান্দার গুনাহ দেখেও তওবার জন্য অপেক্ষা করেন।” এরপর তিনি নবীজির (সা.) একটি হাদিস উল্লেখ করেন:
“আল্লাহ রাতের বেলায় তাঁর হাত প্রসারিত করেন যেন দিনের পাপী তওবা করে, আর দিনের বেলায় হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের পাপী তওবা করে।” (সহিহ মুসলিম)
পাপী নয়, তওবাকারীই প্রিয়
শায়খ বলেন, মানুষ পাপ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উত্তম মানুষ সেই, যে পাপের পর অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। নবীজি (সা.) বলেছেন, “আদম সন্তান সবাই ভুল করে, তবে উত্তম সেই যারা তওবা করে।” (মুসনাদ আহমদ)
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ চান বান্দারা গুনাহ থেকে ফিরে আসুক। আর যেসব গোনাহগার অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায়, তাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
আল্লাহর রহমত সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়
তিনি সূরা আরাফের আয়াত স্মরণ করিয়ে বলেন,
“আমার রহমত সবকিছু পরিব্যাপ্ত করেছে।”
এবং সূরা যুমারের ঐ বিখ্যাত আয়াত যেখানে আল্লাহ বলেন,
“হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছো, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” (৩:৫৩)
কঠোরতা নয়, দয়ার মাধ্যমে দাওয়াত
শায়খ বালিলাহ মুমিনদের সতর্ক করে বলেন, কখনও যেন কেউ আল্লাহর দ্বীনের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। তিনি বলেন,
“কারও পাপ দেখে তাকে অবজ্ঞা বা জাহান্নামের হুমকি দিয়ে নয়, বরং দয়া ও সহানুভূতির মাধ্যমে তার দিকে সহিহ পথে আহ্বান করতে হবে।”
রসূল (সা.) ছিলেন দয়ার প্রতীক
তিনি নবীজির সেই বিখ্যাত ঘটনাও স্মরণ করান, যেখানে এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করায় সাহাবারা তাকে বাধা দিতে গেলে নবীজি (সা.) বলেন,
“তাকে ছেড়ে দাও, এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ, তোমাদেরকে সহজতা ও দয়ার বার্তা নিয়ে পাঠানো হয়েছে।” (বুখারি)
শায়খ আরও বলেন, কারও পাপকে ঘৃণা করা আর পাপীকে দয়া করা—এ দুটি একসাথে থাকাই প্রকৃত ঈমানের পরিচয়।