ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৭৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৩ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসে এ অঙ্ক ছিল ৬০১ মিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে মোট ২৫ হাজার ২৭৩ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার ৫৫৩ মিলিয়ন ডলার বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময়ে দেশে এসেছিল ১৯ হাজার ৭২০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স।
এই অভাবনীয় বৃদ্ধিকে অর্থনীতিবিদরা দেখছেন পজিটিভ সিগন্যাল হিসেবে। তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ এভাবে বৃদ্ধি পাওয়াটা প্রমাণ করে যে, দক্ষ শ্রমশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের কিছু পদক্ষেপ ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখায় প্রবাসীরা অনানুষ্ঠানিক পথ বাদ দিয়ে বৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন।
রেমিট্যান্স হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। এই অর্থ সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়, আমদানি সক্ষমতা বজায় রাখে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়। এমনকি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভোক্তা চাহিদা মেটাতে রেমিট্যান্সের বড় ভূমিকা রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, শুধুমাত্র প্রবাসী আয়ে নির্ভরশীল না থেকে দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি খাত ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও শ্রমবাজারে বৈধ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।