বিজ্ঞাপন
এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের মধ্যে একটি ভবনের বিমে বড় ফাটল দেখা গেছে এবং ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হওয়ায় সেখানকার পাঠদান বন্ধ রেখে অপর ভবনে সীমিত কক্ষে শিক্ষাদান চালু রাখা হয়েছে। তবে একটি কক্ষে অফিস ও দুই কক্ষে ছয়টি শ্রেণির পাঠদান সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দাতেই ক্লাস নিচ্ছেন।
শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই সীমিত পরিসরে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে নেই কোনো সীমানা প্রাচীরও, ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে খোলা ও অনিরাপদ পরিবেশে। এসব কারণে বিদ্যালয়টিতে দিন দিন শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বহুবার আবেদন করেও এখনো মেলেনি নতুন ভবনের বরাদ্দ।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তায়্যিবা আক্তার বলে, "কয়েকদিন আগে আমরা খেলছিলাম, তখন হঠাৎ ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে—ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম।" চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মো. জুনাইদ জানায়, "স্কুলের ভবন অনেক খারাপ, ক্লাস করতে ভয় লাগে।"
প্রধান শিক্ষক মো. রহুল আমীন বলেন, “১১২ জন শিক্ষার্থীর জন্য কার্যত মাত্র দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এতে পাঠদান চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আমরা নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি।”
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল নাহিদ বলেন, “আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ও উপযুক্ত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
-আইনুল নাঈম, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি