বিজ্ঞাপন
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে সরকার এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে সংঘটিত ঘটনার বর্ষপূর্তিতে সরকার ২ জুলাই ২০২৫ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকার প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের পরিপত্র অনুযায়ী ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
এছাড়া শহীদ আবু সাঈদসহ কোটাবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ শহীদ হন। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র জনমত গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি মোড়বদলের সূচনা করে। সরকার পরবর্তীতে এই আন্দোলনের স্মরণে ১৬ জুলাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়।
এ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।