বিজ্ঞাপন
বুধবার দুপুরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন এবং একজন চিকিৎসাধীন।” নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫) এবং কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)-এর।
কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?
এনসিপির সমাবেশ শেষে ফেরার পথে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়ক অবরোধ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে জানা গেছে। পুলিশ বাধা দিলে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, গাড়ি ভাঙচুর ও ছত্রভঙ্গের ঘটনা ঘটে।
‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
জাতীয় নাগরিক পার্টি মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। দেশের বেশিরভাগ জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি হলেও গোপালগঞ্জে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
ঘটনার পর গোপালগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
-মোঃ শিহাব উদ্দিন , গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি