ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গবেষণা বলছে, একটি পূর্ণবয়স্ক নিমগাছ একসঙ্গে ১০টি এসি চালানোর সমান কাজ করে। এর ছায়াতলে আশপাশের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
পরিবেশগত উপকারিতা
নিম গাছ প্রচুর দূষণ সহ্য করতে পারে এবং পরিবেশ থেকে ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করতে সক্ষম। এর পাতাগুলো বাতাসে থাকা সীসার মতো ভারী ধাতু, ধূলিকণা, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, ও নাইট্রোজেন শোষণ করে নেয়।
শুধু দূষণ নিয়ন্ত্রণেই নয়, আশেপাশের পরিবেশ শীতল ও বিশুদ্ধ করতেও নিম গাছ কার্যকর। বাড়ির চারদিকে পরিকল্পিতভাবে নিমগাছ লাগানো হলে তা সবুজ বেষ্টনী (Green Belt) তৈরি করে, যা একটি মাইক্রোক্লাইমেট গড়ে তোলে এবং ভেতরের তাপমাত্রা আশপাশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনে।
বিশ্ব উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নিম গাছ হতে পারে সহজ ও কার্যকর সমাধান। বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই এখনই সময় নিম গাছ রোপণ করে পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিম গাছ প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক।
নিম পাতার রস চর্মরোগ কমায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
নিমের ছাল ও তেল একজিমা, ব্রণ, চুলকানিসহ নানা চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
নিম ডাঁটির কাঠ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের রোগ প্রতিরোধ হয়, মাড়ি শক্ত হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
নিম বীজের তেল প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নিম তেল, সাবান, প্রসাধনী ও ওষুধের চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে।
নিমপাতা ও ছাল মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
নিম গাছ (Azadirachta indica) শুধু একটি গাছ নয়, বরং মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। এখনই সময় বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার ধারে এবং উন্মুক্ত জায়গায় বেশি করে নিম গাছ লাগানোর।
- এম, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান