বিজ্ঞাপন
তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেই তারা আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি বড় রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, “আমাদের এবারের সমাবেশ আয়োজনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিকভাবে প্রয়োজনীয় মাঠের সমতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হবে। দ্বিতীয়ত, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিও থাকবে। তৃতীয়ত, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। চতুর্থত, আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী পদ্ধতি (পিআর) চালুর দাবি জানাবো। সেইসাথে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে বিদেশ থেকেও যেন তারা ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়টিও আমাদের আলোচনায় থাকবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়েও আমরা কথা বলবো।”
গোলাম পরওয়ার জানান, সমাবেশ সফল করতে এরইমধ্যে একটি মূল কমিটি এবং একাধিক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে দলটি বিস্তারিত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পুলিশ কমিশনারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক জনসমাগমের কারণে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও যানজট সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য আমরা আগেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করি।”
সমাবেশ ঘিরে ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোর প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তের কর্মতৎপরতা দৃশ্যমান। সমাবেশ নির্বিঘ্ন ও সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৮টি অনুবিভাগ। থাকবে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, যাতে দূর থেকেও অংশগ্রহণকারীরা কার্যক্রম দেখতে পারেন। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন ২০টি পয়েন্টে। সমাবেশস্থলে ১৫টি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হচ্ছে, প্রতিটিতে থাকবেন দুজন করে চিকিৎসক।
দলটির পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, এই সমাবেশের মাধ্যমে তারা জনগণের প্রত্যাশা ও দাবি আদায়ের পথে একটি সুসংগঠিত বার্তা দিতে পারবে।