Logo Logo
বাংলাদেশ

তিস্তার পানি বাড়ছে, লালমনিরহাটে বন্যার শঙ্কা


Splash Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।


বিজ্ঞাপন


নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার মাত্র ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ-আতঙ্ক।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে গত তিনদিনে পানি ধাপে ধাপে বেড়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ওই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫১.৬২ মিটার, যা বুধবার সন্ধ্যায় বেড়ে দাঁড়ায় ৫১.৮৯ মিটার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছে।

এদিকে, তিস্তার ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়া পয়েন্টেও পানির স্তর বেড়েছে। যদিও সেখানে পানি এখনো বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে বলে পাউবো জানিয়েছে।

ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে চলমান ভারী বর্ষণ এবং সেখানকার পাহাড়ি ঢলকেই পানি বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ওইসব ঢলের পানি সরাসরি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করছে। এতে হঠাৎ করেই তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়, যা বন্যার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানিয়েছেন, “বর্তমান পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য সংগ্রহ করছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি।”

অন্যদিকে, পাউবোর অপর নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে। এতে করে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারীসহ পার্শ্ববর্তী চরাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যার আশঙ্কায় চরাঞ্চলের বাসিন্দারা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। দহগ্রাম, সানিয়াজান ও মহিষখোচা ইউনিয়নের অনেক পরিবার শুকনো খাবার, পানির নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। স্থানীয় প্রশাসনও জানিয়েছে, তারা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভারতের উজানে পাহাড়ি ঢল নামলে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বাড়ে এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে বর্ষাকাল এলেই এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে। এবারের পরিস্থিতিও তার ব্যতিক্রম নয়।

পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক - জিল্লুর রহমান, লালমনিরহাট।

আরও পড়ুন

কুয়াকাটায় ঝোপের মধ্যে থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কুয়াকাটায় ঝোপের মধ্যে থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ভালুকায় বজ্রপাতে এক ব্যক্তি নিহত
ভালুকায় বজ্রপাতে এক ব্যক্তি নিহত