ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর পরিবেশিত হয় ইসলামি ভাবধারার সঙ্গীত ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গান।
দুপুর ১টা ২০ মিনিটে সমাবেশে নামাজের বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। আজানের পর মূলমঞ্চ এবং উদ্যানে জড়ো হওয়া দলীয় নেতাকর্মীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নামাজ আদায় করেন। দুপুর ২টায় পুনরায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হয়।
সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মূল পর্বের শুরুতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অভিবাদন জানান। তার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এটিএম আজহারুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ের নেতারা।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী সাত দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
২। সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা।
৩। প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন।
৪। জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন।
৫। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
৬। পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি।
৭। এক কোটির বেশি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
জামায়াত নেতারা বলেন, এই দাবিগুলো শুধু দলীয় নয়, বরং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য জরুরি। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনগণের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...