বিজ্ঞাপন
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মূল উদঘাটন করার জন্য যা দরকার, আমরা তারুণ্য এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সেই লড়াইয়েও বিজয় লাভ করব।”
তবে বক্তব্যের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান জামায়াত আমির। সঙ্গে সঙ্গে পাশের নেতারা তাকে সেবা দেন। কিছুটা সুস্থ হলে তিনি মঞ্চে বসে বক্তব্য চালিয়ে যান।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশে আমরা সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েছি। যারা ত্যাগের বিনিময়ে সাড়ে ১৫ বছরের কঠিন অন্ধকার যুগের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, যারা লড়াই করে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন—আমরা তাদের সকলের কাছে গভীরভাবে ঋণী।”
আবেগঘন কণ্ঠে তিনি শহীদদের স্মরণ করে বলেন, “আবু সাঈদরা যদি বুক পেতে না দাঁড়াত, এ জাতির মুক্তির জন্য যদি বুকে গুলি লুফে না নিতো—হয়তো বা আজকের এই বাংলাদেশটা আমরা দেখতাম না।”
ডা. শফিকুর রহমান যখন বলতে শুরু করেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি বন্ধ করবে, তার প্রমাণ কী? তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...”—ঠিক তখনই তিনি ফের অসুস্থ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার দাঁড়িয়ে অল্প সময়ের জন্য বক্তব্য দেন, কিন্তু অসুস্থতা অনুভব করলে পুনরায় বসে বক্তব্য চালিয়ে যান।
এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সময় রাস্তার দুপাশে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং নানা স্লোগানে মুখরিত করেন চারপাশ। এ সময় আমিরকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ও হাসিমুখে সাড়া দিতে দেখা যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনব্যাপী এই জাতীয় সমাবেশে সারা দেশ থেকে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের বিজয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।