বিজ্ঞাপন
সাহাবারা জানতে চাইলেন, সেগুলো কী কী? উত্তরে তিনি বললেন—
১. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা,
২. জাদু করা,
৩. অন্যায়ভাবে হত্যা করা,
৪. সুদ খাওয়া,
৫. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ,
৬. যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানো,
৭. উত্তম নারীদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। (রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২)
১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
শিরক এমন ভয়াবহ পাপ যা তওবা ছাড়া ক্ষমা হয় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করবেন না। এটি ছাড়া অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
২. জাদু করা
জাদু শেখা ও চর্চা করা ইসলামে গোনাহ। কোরআনে উল্লেখ আছে, বাবেল শহরে প্রেরিত ফেরেশতা হারুত ও মারুত মানুষকে সতর্ক করতেন—জাদুবিদ্যা কুফরি কাজ।
“তারা (ফেরেশতারা) যাকে জাদু শেখাত, তাকে বলত—তোমরা কুফরি করো না। নিশ্চয় আমরা তোমাদের পরীক্ষা করছি।” (সুরা বাকারা: ১০২)
৩. অন্যায়ভাবে হত্যা করা
আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, তাকে বিনা কারণে হত্যা করা ঈমান নষ্ট করে। কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“যাকে আল্লাহ হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করো না।” (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)
৪. সুদ খাওয়া
সুদ ভক্ষণ ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। আল্লাহ বলেন,
“হে ঈমানদাররা, তোমরা দ্বিগুণের ওপর দ্বিগুণ সুদ খেও না এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।” (সুরা আলে ইমরান: ১৩০)
৫. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ
এতিমের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করা বড় পাপ। কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“যারা অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ গ্রাস করে, তারা আসলে নিজের পেটে আগুন ভরে। শিগগিরই তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।” (সুরা নিসা: ১০)
৬. যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানো
যুদ্ধক্ষেত্রে ভয়ে পলায়ন করা কবিরা গোনাহ। তবে যুদ্ধ কৌশল পরিবর্তন বা শত্রুকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে সরে আসা বৈধ।
৭. উত্তম নারীকে অপবাদ দেওয়া
সতী-সাধ্বী মুমিন নারীদের চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া মারাত্মক গোনাহ। কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“যারা সতী-সাধ্বী মুমিন নারীদের ওপর ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি রয়েছে।” (সুরা নুর: ২৩)
এই সাতটি কাজ থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপরিহার্য। এ ধরনের গোনাহ শুধু দুনিয়ার শান্তিই নষ্ট করে না, বরং আখেরাতের মুক্তির পথও রুদ্ধ করে দেয়।
‘আল্লাহ’ আমাদের সব গুনাহ থেকে হেফাজত করেন, আমিন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...