ছবি- পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য, সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)-এর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রাণহানির দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঞ্জাব প্রদেশ—এখানেই ১২৩ জন মারা গেছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ৪০ জন, সিন্ধু প্রদেশে ২১ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং ইসলামাবাদ ও আজাদ কাশ্মীরে একজন করে নিহত হয়েছেন।
বাড়িঘর ধস, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও বজ্রপাতের কারণে এই প্রাণহানি ঘটেছে। এনডিএমএ জানিয়েছে, ১১৮ জন বাড়িঘর ধসে, ৩০ জন আকস্মিক বন্যায় এবং বাকিরা অন্য দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু। রাওয়ালপিন্ডি, ধামিয়াল, হাতিচক ও মর্গাহসহ বেশ কিছু এলাকা সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। টেঞ্চ ভাটা ও ফৌজি কলোনিতে পানির উচ্চতা বাড়ির ছাদ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
গত দুদিনে ফয়সালাবাদে ১১ জন মারা গেছেন এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। দুর্বল অবকাঠামো ও বাড়িঘর ধসের কারণেই এসব মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার, ত্রাণ এবং মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ঝিলাম, পিণ্ড দাদন খান, কাল্লার কাহারসহ প্রধান সড়কগুলো দ্রুত সচল করার চেষ্টা চলছে। রাওয়ালপিন্ডির কারোলি ধোক ব্রিজে ধসে যাওয়া রাস্তা মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার সরকারের কাছে জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, স্বল্প আয়ে ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামত করা সম্ভব নয়।
- এমকে