বিজ্ঞাপন
পুরো পরিবেশ কান্না ও আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে।
৭০ জন ভর্তি, ২৫ জন আশঙ্কাজনক
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৭০ জন দগ্ধ রোগী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের বেশিরভাগই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। অন্তত ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়ন করার পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭১ জন আহত হয়, যার মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৭০ জন রয়েছে। আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগেরই অবস্থা গুরুতর।”
অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক দগ্ধদের আনা হচ্ছিল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। হাসপাতালের সামনে শুধু একটি শব্দই প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল—‘রক্ত লাগবে’। স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষ রক্তদানে আগ্রহ দেখান, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের তালিকাভুক্ত রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ডাকার অনুরোধ জানায়।
রুমেলার ছেলে কাব্য মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সামিনের ভাই কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানালেন, “ডাক্তার বলেছে বাঁচার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ।”
আরেক আহত রবিন হোসেন নাবিলের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, তার ছেলের পুরো শরীর পুড়ে গেছে।
ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বর্তমানে ১২ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন এবং ৭ জন শিশু আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। দগ্ধদের বয়স ৯ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
হাসপাতালে দগ্ধ রোগী আনতে অ্যাম্বুলেন্সের যাতায়াত চলতে থাকে সারাদিন। পথে যান চলাচলে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এবং পুলিশ সদস্যরা কাজ করছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতারা আহতদের দেখতে যান। তারা চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি পূরণে সরকারের প্রতি জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
-এমকে