বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে মহানগর জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন এ সকল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাষ্ট্র ও সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে চায়। তারা পতিত স্বৈরাচারকেই ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা দেশকে আরো খারাপ অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়।
তিনি আরও বলেন তারা পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। সন্ত্রাসী এমদাদুল হক বাদশাহ দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পতিত স্বৈরাচারসহ সন্ত্রাসীদেরকে সংগঠিত করে চকবাজারকে রক্তাক্ত করেছে।
ভারপ্রাপ্ত আমির আরও বলেন, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর শিক্ষাজোন খ্যাত চকবাজারকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করতে চায়। পুলিশ প্রশাসনের আরো সতর্ক এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা জনগণের প্রত্যাশা ছিলো যা গতরাতের ঘটনায় প্রমাণিত হয়নি। প্রকাশ্য রাজপথে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া, কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করা মেনে নেয়া যায় না। এতে চট্টগ্রাম মহানগরবাসীসহ দেশ ও প্রবাসের সকলেই আশাহত হয়েছে। অবশেষে সেনাবাহিনীকেই ভূমিকা রাখতে হয়েছে পরিস্থিতি শান্ত করতে, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিশেষ কর্মপরিষদ বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ এবং ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী প্রমুখ।
-এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ, চট্টগ্রাম
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...