Logo Logo

চাঁদার দাবিতে

প্রধান শিক্ষককে যুবদল নেতার মারধর, পরে যৌন হয়রানির অভিযোগে ধামাচাপার চেষ্টা?


Splash Image

নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার ৭নং অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান মিষ্টার এবং সাংবাদিক পরিচয়ধারী মুন্না খান শাহিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।


বিজ্ঞাপন


মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৩ জুলাই (বুধবার) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে স্কুল অফিসকক্ষে প্রবেশ করে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।

‎প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, কথাকাটাকাটির পর তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি নামাজে যাওয়ার পথে স্কুল সংলগ্ন সড়কে বাঁধা দিয়ে একাধিক ব্যক্তি তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যথার তীব্রতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

‎তবে অভিযুক্ত যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান মিষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমার চাচি এ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক তাকে যৌন হয়রানি করায় আমরা ব্যাখ্যা চাইতে গিয়েছিলাম।”

‎বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুবি আক্তার জানান, “প্রধান শিক্ষক আমাকে বিভিন্ন সময়ে যৌন হয়রানি করে আসছেন। আমি তা স্থানীয়দের জানিয়েছি।”

‎এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রতন মিয়া বলেন, “আমি নিজ চোখে স্যারকে রাস্তায় মারধর করতে দেখি এবং দৌড়ে গিয়ে তাকে স্কুলে ফিরিয়ে আনি।”

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষক জানান, “প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই যৌন হয়রানির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এখন একটা মিথ্যা ঢাকতে গিয়ে আরও অনেক মিথ্যা বলা হচ্ছে।”

‎উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. মমতাজ বেগম জানান, “ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তবে যৌন হয়রানির কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সব তথ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।”

‎আটপাড়া থানার এসআই আব্দুল কাদের বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রধান শিক্ষককে পাঞ্জাবি ছেঁড়া অবস্থায় স্কুলে পেয়েছি।”

‎এ বিষয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম জানান, “প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

-‎মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...