বিজ্ঞাপন
গত ১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০ জন আবাসন আইন, ৫ হাজার ২০০ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইন এবং ৩ হাজার ৪০০ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে আটক হয়েছেন।
এছাড়া সৌদি আরবে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় আরও ১ হাজার ৯৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইথিওপিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি। বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৩৮ শতাংশ ইয়েমেনি এবং অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক।
অবৈধ পথে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করার সময় আরও ৪০ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি, অবৈধ প্রবাসীদের আবাসন ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে সৌদিতে বসবাসরত ১৫ জন স্থানীয় নাগরিকও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বর্তমানে দেশটিতে ১৮ হাজার ৩০০ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, যাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৭০০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫০০ জন নারী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের মধ্যে ১১ হাজার জনকে নিজ নিজ দেশের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ভ্রমণপত্র সংগ্রহের জন্য। ইতোমধ্যে আরও ১১ হাজার জনকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
সৌদি আরবে অবৈধ অনুপ্রবেশে সহায়তার অভিযোগে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার সতর্কতাও জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, মরু অঞ্চলের এই দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। এর মধ্যে লক্ষাধিক অভিবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। সৌদি আরবের গণমাধ্যমগুলো নিয়মিতভাবে আইন লঙ্ঘনকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের খবর প্রকাশ করে থাকে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...