Logo Logo

কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ।

রিফাত রশিদ বলেন, “অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের অন্যান্য সকল কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত পরাজিত শক্তি। এই প্ল্যাটফর্ম কেউ অনৈতিক কাজে ব্যবহার করলে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।”

সংগঠনের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা প্রসঙ্গে রিফাত রশিদ জানান, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীতে কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

এই ঘোষণার প্রেক্ষাপটে মূল বিতর্কিত ঘটনা হলো—সংগঠনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ।

সূত্র মতে, গত ১৭ জুলাই গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে রিয়াদ ও তার সহযোগী কাজী গৌরব অপু ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাদী সিদ্দিক আবু জাফরের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

একপর্যায়ে বাদী পাঁচ লাখ টাকা নিজের কাছে থেকে এবং আরও পাঁচ লাখ টাকা ভাইয়ের মাধ্যমে দিয়ে দেন। এরপর ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু ফের বাদীর বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। তখন পুলিশকে অবহিত করলে তারা স্থান ত্যাগ করেন।

রোববার গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সিদ্দিক আবু জাফর। আসামির তালিকায় রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং এক শিশুবয়সী অভিযুক্ত মো. আমিনুল ইসলাম।

গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। মামলার শুনানি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

সংগঠন সংশ্লিষ্ট নেতারা মনে করছেন, এই ঘটনায় 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেজন্যই কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে সকল শাখা কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...